পোস্টগুলি

Fundamental Analysis লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Discounted Cash Flow (DCF) Analysis, intrinsic value (অন্তর্নিহিত মূল্য) নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়

ছবি
  Discounted Cash Flow (DCF) Analysis একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত valuation model যা একটি কোম্পানি, প্রকল্প, বা সম্পত্তির intrinsic value (অন্তর্নিহিত মূল্য) নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। DCF মডেলটি ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহ (cash flows) কে ডিসকাউন্ট করে বর্তমান মূল্য (present value) নির্ধারণ করার জন্য কাজ করে। DCF বিশ্লেষণ একটি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য এবং তার ভবিষ্যৎ আয়ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এটি মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে, যা মূলত বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের টুল। Discounted Cash Flow (DCF) এর মূল ধারণা: DCF বিশ্লেষণ বিশ্বাস করে যে, কোনও কোম্পানি বা সম্পত্তির বর্তমান মূল্য তার ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের সমষ্টি যা একটি নির্দিষ্ট ডিসকাউন্ট রেটে ডিসকাউন্ট করা হয়। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে এমন নগদ প্রবাহের মূল্য বর্তমান সময়ের তুলনায় কম হবে, কারণ সময়ের সাথে মুদ্রাস্ফীতি, ঝুঁকি, এবং অন্য খরচগুলো বৃদ্ধি পায়। DCF মডেলের ফর্মুলা: DCF বিশ্লেষণের মূল ফর্মুলাটি হলো: Intrinsic Value (PV) = t = 1 ∑ n ​ ( 1 + r ) t C F t ​ ​ এখানে: PV (Present ...

Gordon Growth Model (GGM) এর মূল ধারণা যা কোম্পানির শেয়ার মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়

ছবি
  Gordon Growth Model বা Traditional Dividend Discount Model (DDM) হলো একটি বিশেষ ধরনের DDM, যা কোম্পানির শেয়ার মূল্য নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে কোম্পানির লভ্যাংশ (dividends) একটি স্থির এবং ধারাবাহিক হারে বৃদ্ধি পায়। এটি Gordon Model নামেও পরিচিত, এবং এটি ১৯৫৯ সালে মাইকেল গর্ডন দ্বারা প্রথম প্রস্তাবিত হয়েছিল। এই মডেলটি সাধারণত তখন ব্যবহার করা হয় যখন কোম্পানি নিয়মিত এবং ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ প্রদান করে থাকে এবং ভবিষ্যতে লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। Gordon Growth Model (GGM) এর মূল ধারণা: GGM এর ভিত্তি হলো, একটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য তার ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য (discounted value) হিসাব করা। এখানে, লভ্যাংশের বৃদ্ধির হার (Growth Rate) স্থির ধরা হয় এবং ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য গণনা করার জন্য discount rate প্রয়োগ করা হয়। Gordon Growth Model এর ফর্মুলা: Gordon Growth Model এর প্রধান ফর্মুলা হল: Intrinsic Value (P) = D 1 k − g \text{Intrinsic Value (P)} = \frac{D_1}{k - g} Intrinsic Value (P) = k − g D 1 ​ ​ এখানে: P ...

Dividend Discount Model (DDM) কিভাবে কাজ করে ?

ছবি
  Dividend Discount Model (DDM) একটি বহুল ব্যবহৃত ফাইনান্সিয়াল মডেল যা মূলত একটি কোম্পানির শেয়ারের intrinsic value (অন্তর্নিহিত মূল্য) নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যদি কোম্পানি নিয়মিত dividends (লভ্যাংশ) প্রদান করে থাকে। DDM, মূলত কোম্পানির ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের অনুমান করে এবং সেই লভ্যাংশকে ডিসকাউন্ট (বর্তমান মূল্য) করে শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য বের করে। এটি একটি Discounted Cash Flow (DCF) মডেলের বিশেষ রূপ, যেখানে ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বদলে শুধুমাত্র লভ্যাংশের প্রবাহের উপর ভিত্তি করা হয়। Dividend Discount Model (DDM) কিভাবে কাজ করে? DDM এ একটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বর্তমান এবং ভবিষ্যতের লভ্যাংশের মাধ্যমে গণনা করা হয়। এটি dividends (লভ্যাংশ) কে ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহ হিসেবে মনে করে এবং সেই লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য বের করার জন্য Discount Rate প্রয়োগ করা হয়। ডিসকাউন্ট করা লভ্যাংশের যোগফলে একটি শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য পাওয়া যায়। DDM এর মূল ধারণা: DDM এর ভিত্তি হলো, একটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য তার ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য (discounted value) এর যোগফল। এর মধ্যে কোম্পানির ভবিষ্যৎ...

একটি শেয়ারের Intrinsic Value (অন্তর্নিহিত মূল্য) বের করার ধাপ

ছবি
 একটি শেয়ারের Intrinsic Value (অন্তর্নিহিত মূল্য) হলো সেই মূল্য যা একটি কোম্পানির সম্পদ, আয় এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়, এবং এটি সাধারণত শেয়ারটির বর্তমান বাজারমূল্যের থেকে ভিন্ন হতে পারে। Intrinsic value বের করার জন্য মূলত একটি কোম্পানির মৌলিক আর্থিক বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যৎ আয় বা নগদ প্রবাহ অনুমান করা হয়। এখানে কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি দেওয়া হলো, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একটি শেয়ারের Intrinsic Value বের করতে পারেন: ১. Discounted Cash Flow (DCF) Analysis: DCF Analysis হলো একেকটি শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য বের করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী পদ্ধতি। এটি ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের (Cash Flow) অনুমান করে এবং সেই নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্য বের করে। DCF পদ্ধতিতে Intrinsic Value বের করার ধাপ: Future Cash Flows (ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহ) অনুমান করুন: কোম্পানির আগামী কয়েক বছরের জন্য নগদ প্রবাহ (Cash Flow) অনুমান করুন। সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য। নগদ প্রবাহের বৃদ্ধির হার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকগুলি বিশ্লেষণ করুন। Discount Rate (ডিসকাউন্ট হার) নির্বাচন করুন: ডিসকাউন্ট হা...

একটি শেয়ারের Fundamental Analysis করার জন্য যে ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন

ছবি
 শেয়ারের Fundamental Analysis (ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস) করার মাধ্যমে, আপনি সেই শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য বা বাস্তবিক মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। এটি মূলত কোম্পানির আর্থিক পরিস্থিতি, তার ব্যবসায়ের মডেল, মার্কেটের প্রতিযোগিতা, এবং ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি সামর্থ্য বিশ্লেষণ করে। এই বিশ্লেষণ সাধারণত financial ratios , company’s earnings , growth potential , এবং market conditions দেখার মাধ্যমে করা হয়। এখানে একটি শেয়ারের Fundamental Analysis করার জন্য যে ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন, তা বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো: ১. কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা: কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন (যেমন Profit and Loss Statement , Balance Sheet , এবং Cash Flow Statement ) পর্যালোচনা করে আপনি কোম্পানির আর্থিক সাস্থ বুঝতে পারেন। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দেখবেন:  Revenue (বিক্রয়): কোম্পানির মোট আয় বা বিক্রয় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা তা দেখে বিশ্লেষণ করুন। দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি সাধারণত কোম্পানির শক্তিশালী বাজার অবস্থানকে নির্দেশ করে।  Net Profit (নিট প্রফিট): নিট প্রফিট হল কোম্পানির সকল খরচ বাদ দিয়ে অর্জিত চ...

Balance Sheet পড়ার পদক্ষেপ

ছবি
  Balance Sheet একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিবরণী যা একটি কোম্পানির নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার সম্পদ, দায় এবং শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটি প্রদর্শন করে। এটি কোম্পানির আর্থিক স্হিতি বা আর্থিক স্বাস্থ্য বুঝতে সাহায্য করে। সাধারণত, এটি একটি নির্দিষ্ট তারিখে তৈরি করা হয় এবং "Assets = Liabilities + Equity" এই সমীকরণ অনুসারে তৈরি হয়। Balance Sheet এর উপাদান: Balance Sheet সাধারণত তিনটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত থাকে: Assets (সম্পদ) Liabilities (দায়) Equity (ইকুইটি) এই তিনটি বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক হলো: Assets = Liabilities + Equity 1. Assets (সম্পদ) সম্পদ হলো কোম্পানির মালিকানাধীন সেসব জিনিস যা ভবিষ্যতে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম। সম্পদ দুই ধরনের হয়: Current Assets (বর্তমান সম্পদ): এগুলি হলো সেই সম্পদ যা কোম্পানি এক বছরের মধ্যে নগদে পরিণত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: Cash and Cash Equivalents (নগদ এবং নগদ সদৃশ সম্পদ) : কোম্পানির হাতে থাকা নগদ অর্থ এবং স্বল্প-মেয়াদি বিনিয়োগ যা সহজে নগদে রূপান্তরিত করা যায়। Accounts Receivable (ডেবটর) : গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা অর্থ। Inventory (স্টক/গুদামে পণ্য) : উৎপাদ...

Profit and loss statement পড়ার পদক্ষেপ

ছবি
  Profit and Loss Statement (P&L Statement) , বা Income Statement , একটি আর্থিক নথি যা একটি কোম্পানির আয়, খরচ, এবং লাভ বা ক্ষতির বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে একটি নির্দিষ্ট সময়কাল (ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক) অনুযায়ী। এটি কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা বুঝতে সাহায্য করে এবং ব্যবসার লাভজনকতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। Profit and Loss Statement এর উপাদান: P&L Statement সাধারণত কয়েকটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকে। এটি পড়তে হলে নিম্নলিখিত উপাদানগুলির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে: 1.Revenue (বিক্রয়): এটি কোম্পানির প্রধান আয় বা বিক্রির পরিমাণ, যা পণ্য বা সেবা বিক্রির মাধ্যমে আয় করা হয়। এটি কোম্পানির ব্যবসার আয় উৎপাদনের মূল উৎস। Gross Revenue : কোম্পানির মোট আয়, কোনো খরচ বাদ না দিয়েই। Net Revenue : বিক্রয়ের পর বেচা না হওয়া পণ্য বা ডিসকাউন্ট বাদ দিয়ে আসল আয়। বিশ্লেষণ: যত বেশি Revenue বা বিক্রয় হবে, কোম্পানির আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে, যা সাধারণত ভাল সংকেত। 2. Cost of Goods Sold (COGS) বা বিক্রির খরচ: COGS হলো সেই খরচ যা সরাসরি পণ্য বা সেবা উৎপাদনে ব্যয় হয়। এটি অন্তর্ভুক্ত করে কাঁচামাল, শ্রম, এবং অন্যান্য উৎপাদন ...

Quarterly Results পড়ার পদক্ষেপ

ছবি
  Quarterly Results বা ত্রৈমাসিক ফলাফল (Q1, Q2, Q3, Q4) হলো একটি কোম্পানির অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং আয়ের বিশ্লেষণ, যা প্রতি তিন মাস অন্তর প্রকাশিত হয়। এই ফলাফলগুলি বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে, যা তাদের কোম্পানির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেয়। Quarterly Results পড়ার পদক্ষেপ: ফলাফল রিপোর্টে কি কি থাকে? এক্ষেত্রে, ট্রেডিং স্টেটমেন্ট বা ফলাফল রিপোর্টে কিছু মূল উপাদান থাকে: Revenue (বিক্রয়) : মোট আয় বা বিক্রির পরিমাণ। এটি কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের আয় উৎপাদনকারী প্রধান খাত। এটি যদি আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পায়, তবে এটি ভালো ইঙ্গিত। Net Profit or Loss (নিট প্রফিট বা লস) : বিক্রয় থেকে খরচ বাদ দিয়ে কোম্পানির লাভ বা ক্ষতির পরিমাণ। এটি একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ। Earnings Per Share (EPS) : প্রতিটি শেয়ারের উপর কতটুকু আয় হয়েছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রিক যা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানির লাভজনকতা বোঝাতে সাহায্য করে। Operating Profit or EBITDA : অপারেটিং প্রফিট বা Earnings Before...

Cash Conversion Cycle (CCC), Working Capital Days (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ডেজ) কী?

  Cash Conversion Cycle (CCC) , অথবা নগদ রূপান্তর চক্র , একটি কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রমের দক্ষতা পরিমাপ করে, বিশেষ করে এটি কত দ্রুত তার সম্পদ (ইনভেন্টরি, অ্যাকাউন্টস রিসিভেবল, এবং অ্যাকাউন্টস পে্যাবল) নগদে রূপান্তরিত করে। এটি কোম্পানির নগদ প্রবাহের রূপান্তরের একটি মাপকাঠি যা দেখায় যে একটি কোম্পানি তার দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকে কত দ্রুত নগদ প্রাপ্তি করতে পারে এবং এই নগদটি আবার কীভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। ফর্মুলা: Cash Conversion Cycle (CCC) =  Inventory Days  +  Debtor Days  −  Days Payable নোট: Inventory Days (ইনভেন্টরি ডেজ) : পণ্য গুদামে কতদিন ধরে থাকে। Debtor Days (ডেবটর ডেজ) : গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা আদায়ের গড় সময়। Days Payable (ডেজ পেইব্ল) : সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ঋণ পরিশোধের গড় সময়। Cash Conversion Cycle (CCC) থেকে কী বোঝা যায়? Shorter CCC (কম চক্রকাল): কোম্পানি দ্রুত তার সম্পদ নগদে রূপান্তরিত করতে পারছে এবং এর মানে কোম্পানির নগদ প্রবাহ ভাল এবং কার্যক্রম খুব কার্যকর। Longer CCC (বেশি চক্রকাল): ...

Debtor Days (ডেবটর ডেজ) , Inventory Days (ইনভেন্টরি ডেজ) , Days Payable (ডেজ পেইব্ল) কী?

  Debtor Days (ডেবটর ডেজ) হলো একটি মেট্রিক যা একটি কোম্পানি তার গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে গড় কত দিন সময় নেয় তা নির্ধারণ করে। এটি একটি কোম্পানির Accounts Receivable (গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা) কীভাবে ব্যবস্থাপনা করছে তা বোঝায় এবং নগদ প্রবাহের উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। ফর্মুলা: Debtor Days = ( Accounts Receivable Credit Sales ) × 365 এখানে: Accounts Receivable = গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা পরিমাণ। Credit Sales = সেই সময়ের মধ্যে বিক্রি হওয়া পণ্য বা সেবার মোট পরিমাণ যা ক্রেডিট (ঋণ) ভিত্তিতে বিক্রি হয়েছে। Debtor Days এর মাধ্যমে দেখা যায় যে, একটি কোম্পানি গড় কত দিন সময় নেয় তার গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে। Debtor Days থেকে কী বোঝা যায়? কম Debtor Days : গ্রাহকরা দ্রুত বিল পরিশোধ করছে, এটি কোম্পানির নগদ প্রবাহের জন্য ভাল। বেশি Debtor Days : কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে বেশি সময় নিচ্ছে, যা নগদ প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। Inventory Days (ইনভেন্টরি ডেজ) কী? Inventory Days (ইনভেন্টরি ডেজ) হলো একটি মেট্রিক যা একটি কোম্পানি তার ই...

Cash Flow (ক্যাশ ফ্লো) কী?

ছবি
  Cash Flow (ক্যাশ ফ্লো) হলো একটি কোম্পানির মোট নগদ অর্থের প্রবাহ, যা সময়ের সাথে সাথে কোম্পানির কাছে আসে এবং চলে যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচক, যা একটি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য এবং নগদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দেয়। ক্যাশ ফ্লো মূলত তিনটি প্রধান খাতে ভাগ করা হয়: Operating Cash Flow (অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো): এটি কোম্পানির মূল ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে অর্জিত নগদ প্রবাহ। এটি কোম্পানির দৈনন্দিন ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত অর্থের পরিমাণ প্রদর্শন করে। উদাহরণ: পণ্য বা সেবা বিক্রি থেকে প্রাপ্ত নগদ, খরচ (যেমন: কর্মচারী বেতন, কাঁচামাল ক্রয়) পরিশোধের পরিমাণ ইত্যাদি। Investing Cash Flow (ইনভেস্টিং ক্যাশ ফ্লো): এটি কোম্পানির সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় থেকে উদ্ভূত নগদ প্রবাহ। এই খাতটি কোম্পানির আয়ের সঙ্গে সম্পদের (যেমন: যন্ত্রপাতি, ভবন, স্টক, ইত্যাদি) লেনদেনের সম্পর্কিত। উদাহরণ: নতুন যন্ত্রপাতি কেনা, ভবন বা জমি বিক্রি করা, বিনিয়োগের জন্য টাকা দেওয়া বা প্রাপ্তি। Financing Cash Flow (ফাইনান্সিং ক্যাশ ফ্লো): এটি কোম্পানির ঋণ গ্রহণ, শেয়ার ইস্যু, ডিভিডেন্ড প্রদান বা ঋণ প...

Shareholding Pattern (শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন) কী?

ছবি
Shareholding Pattern (শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন) হলো একটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের তালিকা এবং তাদের মালিকানাধীন শেয়ারের পরিমাণের বিবরণ। এটি কোম্পানির শেয়ারবাজারে মালিকানা কিভাবে ভাগ করা হয়েছে তা প্রকাশ করে। শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন কোম্পানির শেয়ারের বিভিন্ন শ্রেণীর মালিকদের মধ্যে যে পরিমাণ শেয়ার রয়েছে, তা গণনা করে এবং গ্রুপভিত্তিক ভাগফল প্রদান করে। এটি সাধারণত তিনটি প্রধান ধরনের শেয়ারহোল্ডারের মধ্যে ভাগ করা হয়: Promoters (প্রোমোটারস): কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বা মালিকরা, যারা কোম্পানির শেয়ারের একটি বড় অংশ ধারণ করেন। সাধারণত প্রোমোটাররা কোম্পানির পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং তাদের শেয়ারের অংশীদারি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। Public Shareholders (জনসাধারণ শেয়ারহোল্ডারস): সাধারণ জনগণ যারা শেয়ার বাজারের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয় করে কোম্পানির মালিকানা অর্জন করেন। এদের শেয়ার সাধারণত প্রোমোটারদের তুলনায় কম থাকে। Institutional Investors (প্রতিষ্ঠানগত বিনিয়োগকারীরা): এসব শেয়ারহোল্ডাররা বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ফান্ড (যেমন: মিউচুয়াল ফান্ড, পেনশন ফান্ড, ইন্স্যুরেন্...